Ambubachi: ব্রত পালন না করলেও অম্বুবাচীতে এই খাবার গুলি অবশ্যই খান

Ambubachi: জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, প্রতিবছর আষাঢ় মাসের 7 তারিখে অম্বুবাচী (Ambubachi) পালিত হয়। শাস্ত্র মতে, সূর্য যে বারে ও যে সময়ে মিথুন রাশিতে গোচর করে, তার পরের সেই বারেই পালিত হয় অম্বুবাচী। বুধবার শুরু হয়েছে অম্বুবাচী। শেষ হবে রবিবার ১১ আষাঢ় অর্থাৎ ইংরেজি ২৬ জুন সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে।

প্রতিবছর সূর্য আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পর্যায়ে অবস্থান কালে, মিথুন রাশির 6 ডিগ্রি 4০ মিনিট থেকে 1০ ডিগ্রি পর্যন্ত সময় ধরিত্রী ঋতুমতী হন। এটিই অম্বুবাচী নামে পরিচিত। এই সময় সব-বাড়ি, মন্দিরে পুজো বন্ধ থাকে। কেউ শঙ্খও বাজান না। গৃহদেবতাদের এই সময় লাল কাপড়ে ঢেকে রাখার রীতি রয়েছে।

এছাড়াও অম্বুবাচী (Ambubachi) ব্রত পালনের নিয়মও কিন্তু বেশ জটিল। আগুনে তৈরি কোনও খাবার খাওয়া যায় না। অম্বুবাচী পড়ার আগে যে ফল কিনে রাখা হয় তাই খেতে হয়। প্রয়োজনীয় জলও আগে থেকে তুলে রাখা হয়। এই সময় আবহাওয়া থাকে আর্দ্র। বেশির ভাগ দিনই বৃষ্টি হয়। যে হেতু আদ্যাশক্তির ঋতুচক্র হয় তাই এই সময় বৃষ্টিপাত বেশি হয়।

খবর পড়ুন : Next

অম্বুবাচীর মধ্যে বেশ কিছু আচার,নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন শাস্ত্রবিদরা। এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে জীবনে শান্তি বজায় থাকবে, পূর্ণ হবে মনস্কামনা।
এই তিন দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন অবশ্যই আম/দুধ খান। শাস্ত্রমতে শরীর ঠান্ডা রাখতেই এই সময় দুধের মধ্যে আম মিশিয়ে খাওয়ার কথা বলা হয়।

গরমের অন্যতম ফল হল আম। আমের মধ্যে থাকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও আছে ভিটামিন A, ভিটামিন D, ভিটামিন B12,ক্যালশিয়াম,পটাশিয়াম। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে এই আম-দুধের উপকারিতা একাধিক। যে কোনও রকম সংক্রমণ, প্রদাহ, ক্যানসার ঠেকাতে, হজমশক্তি বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে এবং লিভারের সমস্যায় ভাল কাজ করে। কোলেস্টেরলও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
বর্ষা মানেই সাপের উপদ্রব। আর তাই অনেকেই মনে করেন এই সময় দুধ-আম খেলে দেবী তুষ্ট হন। ফলে সাপের ভয় থাকে না। আর তাই অম্বুবাচী শেষ হলে প্রথমেই ঠাকুরকে নিবেদন করুন এই দুধ আম।

 

Sharing Is Caring:

Naukri Sandhan.Com The owner of the website is a BA student. He is always attracted towards blogging and launched this blog for providing information regarding government schemes, Job, Teach, Scholarships Something else.

Leave a Comment